ডেঙ্গু নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,দেশে সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র হয়। ডেঙ্গু নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ দেশে ডেঙ্গু এই প্রথম নয়। ৪/৫ বছর ধরে বাংলাদেশে ডেঙ্গু দেখা যাচ্ছে, এবার প্রকোপটা একটু বেশি।
রোববার রাতে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ডেঙ্গু নেই। যেখানে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় না। সবচেয়ে ধনী দেশ আমেরিকা আর সবচেয়ে পরিষ্কার দেশ সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গু আছে।
তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই সম্বনিত উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেতারা নানা রকম অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু তারা ভুলে গেছে ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। দেশকে বোমাবাজি আর সন্ত্রাসের কারখানা বানিয়েছিলেন। বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছিলেন। আজ তারা বড় বড় কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আবার অনেক আঁতেলও আছেন। তাদেরকে বলব ডাক্তারদের ডাক্তারি করতে দেন। ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দেন। সব বিষয়ে সবার জ্ঞান একরকম নয়। কাজেই যে যে বিষয়ে পারদর্শী তাকে সে বিষয়ে কাজ করতে দেন।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে ঈদের সময় ডেঙ্গু রোগীরা সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। জেলাগুলোতেও ডেঙ্গু বাড়তে পারে। এজন্য সব জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আরও ৫টি বড় হাসপাতালকে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট, ডায়াগনস্টিক ইনস্টিটিউট, নিটো এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। এখানে ৫ হাজার নতুন রোগীকে ভর্তি রাখা যাবে বলে মন্তব্য জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আকন্দসহ জেলার সব উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বি.এম খোরশেদ/এমএমজেড/পিআর