দেশি গরুর চাহিদা বেশি, তাই দাম বেশি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে। গৃহস্থালি, ফড়িয়া ও পাইকাররা এখন গ্রাম্য খামারে পারিবারিকভাবে পালন করা পশু বাড়িতে গিয়ে কিনে বাজারে তুলছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জেলায় কোরবানি উপলক্ষে পশুর হাট জমে না উঠায় খামারিদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন পশু ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠির চারটি উপজেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে ৪ হাজার ৫৮৯টি গরুকে কৃমিনাশক ওষুধ, ভিটামিন ইনজেকশন ও উন্নতমানের খাবার দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হচ্ছে। কোরবানি উপলক্ষে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৪৭টির। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৬২১টি গরু এবং ছাগল-ভেড়া ৯ হাজার ২২৬টি।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী মো. মনির খান বলেন, নলছিটির শ্রীরামপুর থেকে রাজাপুরের বাগড়ি হাটে গরু কিনতে যাই। ওখান থেকে গরু কিনে কোরবানির হাটে বিক্রি করব। ভারতের গরু না আসায় এখন দেশি গরুর চাহিদা বেশি, দামও বেশি। এবার হাটে তেমন গরু আসেনি। গ্রামে গ্রামে খোঁজ নিয়ে কয়েকটি গরু কিনেছি।
আব্দুল কাদের ব্যাপারী বলেন, পারিবারিকভাবে গরু লালন-পালনকারীরা এখনও বাজারে নিয়ে আসতে শুরু করেনি। যারা নিয়ে আসছেন তারা দাম চাচ্ছেন বেশি। ১০ দিন আগের তুলনায় প্রতিটি গরুতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দাম বেশি চাচ্ছেন মালিকরা। তাই খামারিদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গরু কিনছি আমরা।
গরু বিক্রি করতে আসা রাজাপুরের কানুদাসকাঠি গ্রামের আনছার উদ্দিন বলেন, আমার গোয়ালে দুটি গরু আছে। এবার কোরবানিতে বিক্রি করব। রোববার রাজাপুরের বাগড়ি হাটে গরু নিয়ে গেছি দাম কেমন দেখতে। এখনও তেমন দাম ওঠেনি। আমার ষাঁড়টি ৮৫ হাজার টাকা হলে বিক্রি করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা দাম উঠেছে।
আরেক বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, কোরবানিতে বিক্রির জন্য ৩ মাস আগে একটি উন্নতজাতের গরু কিনেছি। রোববার বিকেলে বাগড়ি বাজারে নিয়ে দাম দেখতে গেছি। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। ১ লাখ ৪০ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করব আমি।
রাজাপুর বাগড়ি হাটের ইজারাদার মো. ইলিয়াস সিকদার বলেন, কোরবানির হাট এখনো জমে ওঠেনি। কিছু কিছু গরু আসছে, কিন্তু বেচা-বিক্রি কম। পাইকাররা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গরু কিনে নিচ্ছে। যার জন্য হাটে গরুর আমদানি এখনো তেমন শুরু হয়নি। আগামী হাটে এখানে পশুর হাট জমে উঠবে। তখন ২ থেকে ৩ কোটি টাকার গরুসহ কোরবানির জন্য অন্যান্য পশু বিক্রি হবে।
মো. আতিকুর রহমান/এএম/এমএস