এবার খুলনায় দু’জনের প্রাণ নিল ডেঙ্গু
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯
খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্কুলছাত্র ও এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। রোববার সকাল ও শনিবার রাতে তারা মারা যান। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খুলনায় এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মঞ্জুর শেখ (১৫) নামে ওই স্কুলছাত্র মারা যায়।
এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১২টার দিকে মর্জিনা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর শেখ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্কুলছাত্র মঞ্জুর খুলনার রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে উপজেলার টিএসবি ইউনিয়নের উত্তর খাজাডাঙ্গা গ্রামের সবজি বিক্রেতা মো. বাবুল শেখ ওরফে বাবুর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুর কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিল। সাধারণ জ্বর ভেবে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় শনিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেয়া হয়। পরে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে কয়েক ব্যাগ রক্তও দেয়া হয় তার শরীরে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মর্জিনা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। মর্জিনা বেগম খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতি গ্রামের ইসরাইল সরদারের স্ত্রী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
খুমেকের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. পার্থ প্রতীম দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মর্জিনার স্বজনরা জানান, মর্জিনা বেগম লিভার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। লিভারের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি। পরে খুলনায় এসে খুমেকে চিকিৎসা নেন। শনিবার বেশ অসুস্থ হয়ে রাতে মারা যান।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাক বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্কুলছাত্র ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কি-না সেটি তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
আলমগীর হান্নান/এফএ/পিআর