সরকারি জমি উদ্ধারে গিয়ে ফাঁসলেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০১৯

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী খাদ্যগুদামের ১.১৪ একর জমির মধ্যে নয় শতক জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পাকা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন হুমায়ুন কবির।

হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য খাদ্যগুদামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে নকিপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ভেটখালি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুল আদালতে যান। এ সরকারি জমি রক্ষার চেষ্টাই কাল হলো গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের। এবার তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে রড-সিমেন্ট চুরির অভিযোগ।

শ্যামনগরের নকিপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেটখালি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুল জাগো নিউজকে বলেন, ভেটখালি খাদ্যগুদামের সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাই। আদালত জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু ভূমিদস্যু হুমায়ুন কবির আদালতের আদেশ অমান্য করে সরকারি জমিতে স্থাপনা তৈরির চেষ্টা করে। পুনরায় আদালতের কাছে প্রতিকারের প্রার্থনা করলে ওই জমিতে প্রবেশ নিষেধ করা হয়। অবশেষে দখল চেষ্টাকারী ভূমিদস্যু হুমায়ুন কবির সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

তিনি আরও জানান, হুমায়ুন কবির গত ৩০ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। এই সুযোগে কয়েকশ শ্রমিক নিয়োগ করে সরকারি খাদ্যগুদামের জমিতে পাকা দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করে হুমায়ুন কবির। সেই সঙ্গে আমি যেন আর আদালতে যেতে না পারি সেজন্য দোকানের পুরাতন কাঠ, রড ও সিমেন্ট ভাড়াটিয়া চোর দিয়ে চুরি করিয়ে আমার ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে শ্যামনগরের মানিকখালি গ্রামের হুমায়ুন কবির বলেন, আমার পৈতৃক জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করেছি। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা আমিনুর রহমান। এটা নিয়ে মামলাও হয়েছে। আমি যেন দোকান নির্মাণ করতে না পারি সে কারণে ভাড়াটিয়াদের দিয়ে দোকানের কাঠ, রড, সিমেন্ট চুরি করানো হয়।

অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ নিয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে হুমায়ুন কবিরের আবেদনে জজ আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আদালতের নির্দেশে আগে জমিতে স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শনিবার হুমায়ুন কবির গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনেছেন। ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।

আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।