মেয়েকে দেখতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত নারী, আটক ৩

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার
প্রকাশিত: ১১:৩২ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯

সাভারের হেমায়েতপুরে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে সালমা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হওয়ার ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মোছা. কাজল বেগম (৩০), শুকুর সরদার (৩০), সজিব হাওলাদার (২৫)।

এর আগে, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছিল। দুই আসামিকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জানা গেছে, শুকুর সরদার (৩০) খুলনা জেলার তেরগাদা থানার আকুলিয়া গ্রামের আবদুল হাফিজ সরদারের ছেলে। সজিব হাওলাদার (২৫) শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বায়েরটাকি গ্রামের খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে। তারা দু’জনেই তেতুলঝোড়া এলাকায় থাকতেন।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক ও ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এমারৎ হোসেন জানান, ছেলেধরা গুজবে ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কাজল নামে নারী বেশি মারধর করে, যা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় একটি শিশুকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন এক নারী। এ সময় এলাকাবাসী ছেলেধরা গুজবে তাকে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সালমা বেগম মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। মূলত, তিনি নিজের মেয়েকে দেখতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। ১০-১২ বছর আগে স্বামী মিজানুর রহমান তাকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করে। সালমা ও মিজানুরের ঘরে তিন মেয়ে আছে।

দ্বিতীয় বিয়ের পর তিন মেয়ে মিতা, মনিকা ও মিসকাতকে নিজের কাছেই রেখে দেয় মিজানুর। ডিভোর্সের পর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামে বাবার বাসায় থাকতো সালমা।

মোহাম্মদ রনি খাঁ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।