ডেঙ্গু জ্বরেই শেষ সেলিমের সব স্বপ্ন
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার লোহারটেক বাছারডাঙ্গী গ্রামে সেলিম বিশ্বাস (৪০) নামে এক ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার ভোররাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সেলিম বিশ্বাস চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের লোহারটেক বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত কদম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী কাঁচপুর এলাকায় থাকতেন এবং সেখানে তার একটি গাড়ির গ্যারেজ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় থাকা অবস্থায় কয়েক দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন সেলিম। গতকাল রোববার সেলিম অসুস্থ অবস্থায় চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের লোহারটেক বাছার ডাঙ্গী গ্রামে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়ি ফেরার পর তাকে রোববার সন্ধ্যায় চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে সেলিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোররাতে মারা যান সেলিম।
চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হাসান জানান, সেলিম বিশ্বাসের অসুস্থতা দেখে ডেঙ্গুর প্রভাব আঁচ করি। ফলে তাকে দ্রুত আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করি।
সেলিম বিশ্বাসের স্ত্রী মুন্নি আক্তার জানান, তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ১০ দিন ধরে তার স্বামী ঢাকা শহরে জ্বরে ভুগছিল। রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পর তার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে সে জানায়।
মুন্নি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন অন্যের গ্যারেজে কাজ করে সম্প্রতি নিজে একটি গ্যারেজ দিয়েছিল। অনেক স্বপ্ন ছিল তার গ্যারেজ নিয়ে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর সব স্বপ্ন কেড়ে নিল।
সেলিমের বড় ভাই আইয়ূব বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এ কথা আমাদের কাউকেই বলেনি। রোববার বিকেলে বাড়ি আসার পর জানতে পারি এবং সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোররাতে সেখানেই সে মারা যায়। ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেও বাঁচাতে পারলাম না।
এদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কোনো রোগী মারা যায়নি।
বি কে সিকদার সজল/আরএআর/এমকেএইচ