পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী বিজন মণ্ডলের (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিজন মণ্ডল আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের মেয়ে কঙ্কাবতী মণ্ডলের (৪০) সঙ্গে একই উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে বিজন মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর প্রতিবেশী দীপক মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মণ্ডলের সঙ্গে বিজনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিবাদ করায় কঙ্কাবতীর সঙ্গে বিজনের প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এরই জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে বিজন তার স্ত্রীর মুখমণ্ডল ও নাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে কঙ্কাবতীর গলায় দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিজন মণ্ডল।

এরপর কঙ্কাবতীর মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে বাথরুমের সামনে আম গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালায় বিজন ও তার পরিবারের সদস্যরা। ২০১৭ সালের ১০ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লোকমুখে খবর পেয়ে ১১ জুন সকালে বিজনের বাড়িতে গিয়ে কঙ্কাবতীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও তার স্বজনরা। পরে বিজন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে পুলিশে দেয় গ্রামবাসী। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল বাদী হয়ে ওই বছরের ১১ জুন রাতে জামাই বিজন কুমার মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ জুন বিজন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জাহিদ হোসেনের আদালতে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ার কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামিকে স্ত্রী হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট এস এম হায়দার আলীসহ কয়েকজন।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।