১১ ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করল ‘বড় হুজুর’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দারুল হুদা মহিলা মাদরাসায় তিন বছরে ১১ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন মাদরাসার ‘বড় হুজুর’ ও প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মাদরাসার ছাত্রীদের আখেরাতের ভয় দেখিয়ে মোস্তাফিজুর বলতেন হুজুরের কথা শোনা ফরজ, না শুনলে গুনাহ হবে এবং জাহান্নামে যাবে- এমন নানা ফতোয়া দিয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব। এর আগে শনিবার দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার চার ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাদরাসার ‘বড় হুজুর’ ও প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
র্যাব-১১-এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার ১১ ছাত্রীকে তিন বছর ধরে নিজের কক্ষে বিভিন্ন কৌশলে ধর্ষণ করেছেন ‘বড় হুজুর’ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এসব অপকর্মের পর ওই ছাত্রীরা মুখ খোলার চেষ্টা করেছে তাদের একেকজনকে একেক অপবাদ দিয়ে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এভাবে মাদরাসার ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন মোস্তাফিজুর।
আলেপ উদ্দিন আরও বলেন, মাদরাসার ছাত্রীদের আখেরাতের ভয় দেখিয়ে মোস্তাফিজুর বলতেন, হুজুরের কথা শোনা ফরজ, না শুনলে গুনাহ হবে এবং জাহান্নামে যাবে- এমন নানা ফতোয়া দিয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন। সেই সঙ্গে তাবিজ করে পাগল করা বা পরিবারের ক্ষতি করার কথা বলে ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন জাল হাদিস তৈরি করে হুজুরের সঙ্গে সম্পর্ক করা জায়েজ আছে বলে ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন। একটি জাল হাদিসের মাধ্যমে অভিভাবক ও সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় বলে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ, আরেকটি জাল হাদিসের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে ফতোয়া দিয়ে মাদরাসা থেকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বের করে দেন মোস্তাফিজুর।
এর আগে শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দারুল হুদা মহিলা মাদরাসায় চার ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার ‘বড় হুজুর’ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১-এর একটি টিম। তবে ওই সময় ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন ‘বড় হুজুর’ মোস্তাফিজুর।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম