কুড়িগ্রামে পানি কমলেও দুর্দশা কাটেনি বানভাসিদের
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯
কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। সেই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটছে। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বন্যা কবলিতরা। দুই সপ্তাহ ধরে বসতবাড়ি ডুবে থাকায় বেহাল অবস্থা হয়েছে বাড়িঘরের। বন্যার প্রবল স্রোতে ঘরের বেড়া, ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরের ভেতর হাঁটু কাদা। নষ্ট হয়ে গেছে রান্না করার চুলা। ফলে বন্যা পরবর্তী দুর্দশার মধ্যে পড়েছে বানভাসিরা।
কেউ কেউ বাড়িঘর পরিষ্কার করে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে নিয়েছে। তবে কারও কারও ঘরে বন্যার পানি থাকায় আবার ফিরে যেতে হচ্ছে সড়কে। সরকারি হিসেবে চলতি বন্যায় ২ লাখ ৩৯ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকূপের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার। জেলা প্রশাসন থেকে গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়াও বন্যার কারণে ভিজিএফ বরাদ্দ এক মাসের জায়গায় টানা তিনমাস ধরে পাবেন বন্যা কবলিতরা।
এদিকে শেষ সময়ে এসে নড়েচড়ে বসেছে বেসরকারি সংগঠনগুলো। ডব্লিউএফপি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছে। স্থানীয় মহিদেব যুব সমাজকল্যাণ সংস্থা ৪৯ লাখ টাকার হাইজিন কিটস বক্স বিতরণ করেছে। এছাড়াও শুরু থেকে ১০ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করেছে জেলা পরিষদ। রেড ক্রিসেন্ট ২৫ লাখ টাকার উপকরণ বিতরণ করেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রুমানুজ্জামান জানান, রোববার সন্ধ্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার এবং সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নাজমুল হোসাইন/আরএআর/এমএস