রাজবাড়ীর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার শুরু
৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর ডান তীরে স্থায়ী শহর রক্ষাকারী বাঁধের (ফেজ-১) ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে শুরু না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কাজটি দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তা বলছেন, রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ফেজ-১ এর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে। বর্ষা মৌসুম শেষে সিসি ব্লক তৈরির কাজ শুরু করে মূল কাজ করা হবে।
গত বছরের বর্ষা মৌসুমে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধের প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাঁধ রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে পাউবো। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৭১ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাঁধের ভাঙন কবলিত স্থানে প্রথম পর্যায়ের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ৫টি প্যাকেজের ৩টি কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শুরু হয়ে ২০১২ সালে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ফেজ-১ এর কাজ শেষ হয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনো ভাঙন ছিল না। গত বছর বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ করেই বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। জনগণ ও প্রশাসনে ধারণা ভাঙন শুরুর আগে বিআইডব্লিউটিএ নদীতে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজিং করায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা বলেন, বার বার নদী ভাঙনের কারণে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।তাদের বাড়ি-ঘরও ভাঙছে। এখন নদীর পানি কমতে শুরু করায় তারা আতঙ্কে আছেন। ভাঙন রোধে কাজ শুরু হলেও তা ধীর গতিতে হচ্ছে।
তারা বলেন, এ কাজ শুকনোর সময় করলে ভাল হতো। এখন যে বস্তা ফেলছে তা ঠিক মত পড়ছে না। নদীভাঙন রোধ এখন না করলে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। এ কারণে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ফেজ-১ এর ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে । প্রথম পর্যায়ে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। ভাঙন রোধে তারা সব সময় কাজ করছেন। বালু, বস্তা, নৌকাসহ তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুম, শুকনো মৌসুমে সিসি ব্লক তৈরি করে বাঁধের মূল কাজ করা হবে।
রুবেলুর রহমান/এমএমজেড/এমকেএইচ