জাপার সম্মেলন তাই স্কুল অঘোষিত ছুটি
যশোর জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সম্মেলনের কারণে রোববার যশোর জিলা স্কুলে ছিল অঘোষিত ছুটি। স্কুল অডিটোরিয়ামে সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ভিড় আর মাইকের শব্দের কারণে স্কুলের দুই শিফটের কার্যক্রম চলে ঢিলেঢালা ভাবে।
শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ আয়োজকদের দুষলেও তারা এ দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।
রোববার ছিল যশোর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ। যশোর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অডিটোরিয়ামের ভিতরে বাইরে মাইক টাঙিয়ে চলতে থাকে বক্তব্যর পালা।
জেলার শীর্ষ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন পরিবেশের কারণে থমকে যায় শিক্ষা কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের প্রভাতি ও দিবা উভয় শাখায় দুইটির বেশি ক্লাস হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এই ক্লাসগুলোতেও ছাত্রদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। কারণ অভিভাবকরাও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংসতার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাননি। স্কুল আঙিনায় এমন কর্মসূচির অনুমতি দেয়ায় অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষককেই দায়ি করেছেন।
যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম জানান, জাতীয় পার্টি ঘরোয়া কর্মসূচির কথা বলে অনুমতি নিয়েছিল। তাদের কার্যক্রমকে অডিটোরিয়ামের বাইরে না আনার প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি। আর অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠানোয় ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল।
তবে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সভাপতি নির্বাচিত হওয়া শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী বলেন, অডিটোরিয়াম ভাড়া নেয়ার সময় কোনো ধরণের কমিটমেন্ট তারা করেননি। তাই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই।
এদিকে, বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যশোরের জেলা প্রশাসক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ইতোমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। আর এ তদন্তভারযশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে।
মিলন রহমান/এআরএ/আরআইপি