বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, জেলেদের মুখে হাসি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরদিন বুধবার সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে, ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে।

দুদিন ধরে সমুদ্রে থাকা ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো আসতে শুরু করেছে বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারে। ফলে কেবি বাজারের জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই খবরে বাগেরহাটসহ উপকূলের জেলে পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দের বন্য।

বৃহস্পতিবার সকালে কেবি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনে সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ফিরেছে প্রায় ২০টি ফিশিং ট্রলার। ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি এসব ট্রলার কেবি বাজারের সামনে দাঁড়াটানা নদীর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য আড়ত কেবি বাজারে এখন ইলিশের পর্যাপ্ত সরবারহ থাকায় মাছের দাম কমে গেছে। কেবি বাজারে ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করে। এছাড়া এক কেজি বা তার বেশি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৪শ টাকায়।

কেবি ঘাটে এফবি ফিশিং ট্রলারের জেলে রফিক হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে। অবশেষে আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ইলিশ বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, বাজারে ইলিশের সরবারহ ভালো। দামও অনেক সস্তা। আগামী সপ্তাহে ইলিশের দাম আরও কমে যাবে।

বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আলহাজ আবেদ আলী জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ২৪ জুলাই ভোরে সমুদ্রে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ শুরু করেন। গত দুই দিনে সুন্দরবনের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনে ইলিশ বোঝাই প্রায় ২০টি ট্রলার কেবি বাজার সংলগ্ন ঘাটে নোঙ্গর করেছে।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছ। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে মাছ পড়তে শুরু করছে। জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছের সাইজও মোটামুটি ভালো। তবে নিয়মিত বৃষ্টি হলে আরও ভালো সাইজের বড় বড় ইলিশ ধরা পড়বে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক বলেন, বঙ্গোসাগরে ৬৫ দিনের সব ধরনের মাছ আহরণে মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার সুফল জেলেরা পেতে শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরে এখন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামীতে জেলায় ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে বলে জাানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

শওকত বাবু/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।