জুতার জন্য সহপাঠীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০২:৫২ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৯

সিলেটে জুতার জন্য সহপাঠীদের হামলায় তানভির হোসেন তুহিন (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টায় নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিন মারা যান। নিহত তুহিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও সিলেট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কম্পিউটার বিষয়ের প্রশিক্ষণার্থী।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মূসা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে তুহিন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে যান। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে জুতা রেখে কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তুহিন কম্পিউটার ল্যাব থেকে বের হয়ে এসে দেখেন তার জুতা নেই। এর কিছুক্ষণ পর তার জুতাটি অন্য একজন প্রশিক্ষণার্থীর পায়ে দেখতে পান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি শিক্ষকদের কানে গেলে তারা আপস-মীমাংসা করে দেন।

এ ঘটনার পর তুহিন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাইরে গেলে বাকবিতণ্ডাকারী শিক্ষার্থী আরও কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় তুহিন মারাত্মক আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জুতা নিয়ে তানভির হোসেন তুহিনের সঙ্গে অন্য এক শিক্ষার্থী কামরানের বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মীমাংসা করে দেন। পরে কামরান তার সহপাঠীদের নিয়ে তুহিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তুহিন গুরুতর আহত হয় এবং ঢাকায় নেয়ার পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।