রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

নাটোর শহরে রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করা হয়েছে। এরকম অন্তত ৮ থেকে ১০টি খুঁটি রয়েছে রাস্তার মধ্যে। ফলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। আর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং নেসকো একে অপরকে দোষারোপ করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারি দফতরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কানাইখালি এলাকা থেকে আলাইপুর পর্যন্ত অন্তত ৮/১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে রাস্তার মধ্যে। সম্প্রতি শহরের রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে এসব খুঁটি রাস্তার মধ্যেই থেকে গেছে। এসব খুঁটিতে ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং অফিসের সংযোগ রয়েছে। খুঁটি না সরিয়েই সোমবার থেকে পুনরায় শহরের ভেতরের রাস্তায় কার্পেটিং শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও রাস্তার মধ্যে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার পরও কাপের্টিং করা হয়।

natore

নাইম হোসেন নামে এক আটো চালক বলেন, দিনে না হলেও অন্তত রাতে যানবাহনগুলো সমস্যা পড়বে। রাস্তার মধ্যে পোল থাকার কারণে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ জানান, শহরের হরিশপুর বাইপাস থেকে বেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের শুরু থেকেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই রাস্তার ড্রেন নির্মাণসহ সব ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া পৌরসভা, নেসকোসহ সরকারি অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না করেই প্রকল্পটি নেয়া হয়। যার ফল ভোগ করছে এখন নাটোরবাসী। সরকারি দফতরের মধ্যে সমন্বয় থাকলে এ ধরনের সমস্যা হতো না।

নাটোর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ পাটেয়ারী বলেন, নেসকোকে বৈদ্যুতিক পোল সরানোর জন্য আমরা টাকাও দিয়েছি। কিন্তু তারা খুঁটি সরিয়ে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে কার্পেটিং করা হচ্ছে। কারণ এই কাজ অনেক দিন ধরে পড়ে থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

natore

এদিকে নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী সুব্রত কুমার বলেন, সওজ রাস্তার পাশে জায়গা দেখিয়ে না দেয়ার খুঁটি সরানো সম্ভব হয়নি। কারণ ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইন বাড়িঘরের ওপর দিয়ে টানা যায় না। এর আগে আমাদের যতগুলো সরাতে বলেছে আমরা সবগুলো সরিয়ে ফেলেছি।

তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য ৭৫ লাখ টাকা দিয়েছে সওজ। এরমধ্যে ২০ লাখ টাকা রয়েছে সরঞ্জাম কেনার জন্য। এর আগে আমরা যখন খুঁটি সরানোর কথা বলেছি, তখন তারা বলেছিল রাস্তা বাড়নো হলে তখন জায়গা দেখিয়ে দিবে। কিন্তু এখন তারা রাস্তার মধ্যে খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করছে। সরকারি দফতরের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এমন হয়েছে।

রেজাউল করিম রেজা/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।