গণপিটুনি বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের মাইকিং

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০১:০৯ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়ানো এমন গুজবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা যেন থামছেই না। একের পর এক গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার একটি স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নিহতের ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।

southeast

গণপিটুনির ঘটনা প্রতিরোধে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানের নির্দেশনাতে মঙ্গলবার থেকে জেলার সবকটি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে। মাইকিংয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয়, স্কুল-কলেজে এবং হাট-বাজারে গিয়ে সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক সভাও করছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু দেশের সর্বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পের সাথে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। একটি মহল এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যা গুরুতর অপরাধ। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ।

গুজবে কান না দিয়ে কাউকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও গুজব ও গণপিটুনি ঠেকাতে প্রচারণা চালানোর কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আজিজুল সঞ্চয়/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।