ছেলেধরা বলতে কিছু নেই, সবই গুজব : এসপি হারুন
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, ছেলেধরা বলতে কিছু নেই, সবই গুজব। এসব গুজবে কান দেবেন না। গুজবে কান না দেয়ার জন্য মাইকিং করেছে পুলিশ। সবাই সচেতন হোন।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইকিং করেছি। ছেলেধরা গুজবকে কেন্দ্র করে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কেউ এসব গুজব ছড়ালে কানে নেবেন না। এসব গুজব ছড়িয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ বাকপ্রতিবন্ধী। আমি চাই এসব গুজবে যেন কেউ কান না দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদের বিপরীতে হকার্স মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এসপি হারুন বলেন, ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে যদি কাউকে মারধর করা হয় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেবেন। ইতোমধ্যে আমাদের একটি টিম নিযুক্ত করা হয়েছে, তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। আইন হাতে তুলে নিয়ে কাউকে হত্যা করা অপরাধ। এ হত্যার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। অনেকেই মামলার আসামি হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তে যারা দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে এসপি হারুন আরও বলেন, শহরের প্রকৃত হকাররাই যেন হকার মার্কেটে বসতে পারেন। এ বিষয়ে মেয়রকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাই। মেয়রের কাছে আমার অনুরোধ, একটা নিয়ম করে দেন। যেন হকাররাই হকার মার্কেটে বসতে পারেন। বাকি হকারদের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা করেন। প্রয়োজন হলে একটি বহুতল ভবন করে সেখানে তাদের বসার ব্যবস্থা করে দেন।
এসপি হারুন বলেন, এই হকার মার্কেটে ৬৫০টি দোকান মেয়র বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা দেখলাম কোনো হকার দোকানে বসে না। ৬৫০ জন যদি দোকানে বসতো তাহলে ৬৫০ জন হকার কমতো। কিন্তু ৬৫০ জনই দোকান বিক্রি করে দিয়ে আবার ফুটপাতে বসছে। তাহলে আপনারা দোকান নিলেন কেন? এই দোকানগুলো বিক্রিযোগ্য নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক প্রমুখ।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/এমএস