কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানি শেষ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। রোববার বেলা সোয়া ১টায় সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে এই শুনানি শেষ হয়। ঘণ্টাখানেক পর এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান, বিশেষ পিপি অশোক কুমার কর।
এর আগে কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন সামনে রেখে রোববার সকালে হত্যা মামলার আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও হবিগঞ্জের বরখাস্ত হওয়া পৌর মেয়র জি কে গউছসহ কারাগারে থাকা ১৪ আসামিকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি এমএ কাইয়ুমসহ ১৫ জন জামিনে আছেন। রোববার আদালতে চার্জ গঠনের শুনানি কালে তারাও আদালতে হাজির ছিলেন।
রোববার ১০ম দফায় ছিলো এ হত্যা মামলার চার্জ গঠনের ধার্যকৃত দিন। এর আগে সব আসামি হাজির না হওয়ায় ৯ দফা চার্জগঠনের তারিখ পেছানো হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর- পিপি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর, হবিগঞ্জের জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন প্রমুখ।
আসামি পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট আমিনুল রহমান, অ্যাডভোকেট মো. লালা, অ্যাডভোকেট নুরুল হক (জেলা বিএনপির আহ্বায়ক), অ্যাডভোকেট আশিক, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আ. গাফফার, অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী।
সরকার পক্ষে মামলার আইনজীবী সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, চার্জ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর আাদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।
গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলাটির অধিকতর তদন্ত শেষে গত ১২ আগস্ট হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। ওই চার্জশিটেও হত্যা মামলার সকল আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর