ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধর্ষণের পর হত্যা : আসামির আত্মসমর্পণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খুলনা
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৯

খুলনায় এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীসহ শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করেছেন।

আজ (রোববার) বেলা ১১টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করেছেন। গত ১৬ জুলাই এই হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। তাদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নগরীর লবণচরা থানার বুড়োমৌলভীর দরগাপাড়া রোডের ঢাকাইয়া হাউজ এপি ভিলার প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। তারা প্রথমে এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানার বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীকে হত্যা করে। এরপর পর ধর্ষণ শেষে পারভীন সুলতানাকেও হত্যা করে উভয়ের মরদেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরে ঘরে লুটতরাজ চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলার ৫ আসামি লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭), আবুল কালামের ছেলে লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশের (২৬) ফাঁসির রায় হয়। আসামিদের মধ্যে শরিফুল পলাতক ছিলেন।

আলমগীর হান্নান/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।