খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে মানিকগঞ্জের বন্যা কবলিতরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯

মানিকগঞ্জে পদ্মা-যমুনাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যানুযায়ী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর ও সাটুরিয়া উপজেলা বন্যা কবলিত। এসব উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ৭০ হাজার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

Manik-3.jpg

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন চরাঞ্চলের পানিবন্দি লাখো মানুষ। শনিবার সরেজমিনে হরিরামপুরের রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়ন ও শিবালয়ের তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া চরে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বাড়ি-ঘরেই পানি। ঘরের ভেতর মাচা করে বসবাস করছেন অনেকে। আবার অনেকেই ঘর-বাড়ি রেখে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট বেড়ি বাঁধ।

বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিলেও এখনও কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।

তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, চরাঞ্চলের বাড়ি ঘরে চাল সমান পানি। ঘর থেকে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে বনার্তদের তালিকা করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যাবে।

Manik-3.jpg

তিনি বলেন, চরের প্রতিটি বাড়িতেই গবাদি পশু বিশেষ করে কোরবানির গরু রয়েছে। বর্ষা এলে চোর-ডাকাতের উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই গরু চুরি ঠেকাতে তিনি চরে পুলিশি টহলের দাবি জানান।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বাবুল মিয়া জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত মানুষের মধ্যে ৮ মেট্টিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক টন চালক ও শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

বি.এম খোরশেদ/এমএমজেড/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।