হাজতখানায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:২৪ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে সাগর (২০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে থানার হাজতখানায় ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী।

তবে কীভাবে হাজতখানায় আত্মহত্যা করলেন সেটি নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে চুরি করতে গিয়ে নৈশ প্রহরীর কাছে ধরা পড়ে সাগর। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তার কাছ থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

উপজেলা পরিষদের নৈশ প্রহরী জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রাতে কয়েকজন তালা কেটে অফিসার্স ক্লাবে ঢুকে আইপিএসসহ অনেক মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখে চিৎকার করলে বাজারের নৈশ প্রহরীরা এগিয়ে গিয়ে সাগরকে আটক করে। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানানোর পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, চুরির ঘটনায় গণপিটুনি দিয়ে সাগরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানোর জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসতে গেলে তার মরদেহ পাওয়া যায়। হাজতখানায় থাকা একটি কম্বলের কোণা ছিঁড়ে সেটি দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুল ইসলাম জানান, গণপিটুনির বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই। চুরি করার সময় নৈশ প্রহরীসহ সবাই তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আমাকে জিজ্ঞেস করার পর আমি বলেছি পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য।

জেলার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান সাংবাদিকদের জানান, পুরো ঘটনাটি তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জানা গেছে ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।