বিজয় দিবসে আলোকিত হচ্ছেন ছিটমহলবাসী


প্রকাশিত: ০৪:১৪ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে আলোর উৎসব করতে যাচ্ছে ছিটমহলবাসী। ওই দিন বাংলাদেশের ৪১ হাজার ৪৪৯ জন নতুন নাগরিককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোর উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
শুধু বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ও সরবরাহ নয়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া এসব মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সূত্র মতে, বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন টানানোর জন্য নকশা ও জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। এখন বিদ্যুতের খুঁটিসহ তার বসানোর কাজ শুরু করা হবে।
 
বাংলাদেশ ও ভারতের অমীমাংসিত স্থান হওয়ায় ৬৮ বছরে কোনো বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়নি ওইসব এলাকায়। চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্য রাত থেকে বিদ্যুৎ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
 
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৪৫০ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন নির্মাণ করবে। ফলে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশের নতুন নাগরিকদের ১৪ হাজার ৫শ`টি বাড়ির ৪১ হাজার ৪৪৯ জন সদস্য বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পাবে।

বিলুপ্ত ছিটমহলের এলাকা ভাগ অনুযায়ী বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ২৭ এলাকায় ও  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাকি সব এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন করবে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুতের লাইন নিতে গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিতে হয়। কিনতে হয় মিটার। এসব এলাকায় এসবের কিছুই প্রয়োজন হবে না। যারা আবেদন করবেন, তাদের বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। আরইবির অধীনে চার জেলায় ২৭টি এলাকায় সাত হাজার ৮শ পরিবারকে এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৬ হাজার ৭৪১ পরিবারকে বিদ্যুতের সুবিধা দেবে।
 
বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ছিটমহলভুক্ত এলাকা পরির্দশন পূর্বক বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (এপিপি) প্রণয়ন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী ছিটমহল এলাকাগুলোয় প্রয়োজনীয় মালামাল বরাদ্দ করা হবে। এছাড়া অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ছিটমহলগুলোয় প্রয়োজনীয় বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ করতে হবে।
 
আরইবির সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর চারটি পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের একটি করে দুটিসহ মোট ছয়টি বিলুপ্ত ছিটমহলে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ লাইনের স্থাপন কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন তাদের আওতায় থাকা বাকি ২১টি বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।