ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত
ফেনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম. সাখাওয়াত হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার দুপুরে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তাকে জিম্মি করে ফেনীর মধুপুরের নিজবাড়ির পাশে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাজা কম খাটা নিয়ে দায়ের করা মামলার বাদী।
হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি মঙ্গলবার ফেনীর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসেন। সেখান থেকে বাড়িতে গেলে দুপুরে জোহরের নামাজের পূর্ব মুহূর্তে ২০/২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. রেদোয়ান হোসেন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাকচার ও জখম রয়েছে। মাথা, মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের অবস্থা গুরুতর।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, এক সময়ের জয়নাল হাজারীর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম. সাখাওয়াত হোসেন সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের সময়ও তার বাড়িতে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। ১০/১২ দিন পূর্বে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
রাশেদুল হাসান/এমএএস/পিআর