চুরির অপরাধে সালিসে শিশু নির্যাতন : আটক ৪


প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

টাকা চুরির অপবাদে সালিস বৈঠকে এক শিশুকে মারধর করে জরিমানা আদায় করে নাকে খত দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্যাতিত শিশুর নাম দেবাশিষ দাশ। তার বাবার নাম গৌরাঙ্গ লাল দাশ। উপজেলার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামে তার বাড়ি। সে গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার দাসেরহাটে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন, সালিসদার মোকতার বেপারী, সবুজ বেপারী, মালেক শিকদার ও দোকানদার হাবুল সরদার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুরে উপজেলার দাসেরহাটের চা বিক্রেতা দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে হাবুল সরদারের দোকান থেকে তার অনুপস্থিতিতে সাড়ে তিন হাজার টাকা চুরি হয়। এসময় দোকানের সামনে ৪-৫ জন শিশু খেলা করছিল। ওই শিশুদের মধ্যে দেবাশিষ দাশ নামে এক শিশুকে সন্দেহ করে ওই দোকানদার। পরে দেবাশিষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে দোকানদারের লোকজন। এসময় তার পকেটে থাকা ১৬৬ টাকা দেখে তা রেখে দিয়ে চুরির অভিযোগে রাতে সালিস বৈঠক বসানো নেয়া হয়। রাতেই নুরুল ওই চায়ের দোকানে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সবুজ বেপারী, স্থানীয় মাতব্বর মোক্তার বেপারী, মালেক সিকদার, চৌকিদার আবুল হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় অর্ধশতাধিক লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। সালিসে শিশুটির অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তাকে চোর সাব্যস্ত করে চর থাপ্পড় মারা হয় এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা করে শিশুটিকে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন সালিস নেতারা।

এ ঘটনা জেনে রাতেই আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের এসআই হাবিবুর রহমান সালিসদার মোকতার বেপারী, সবুজ বেপারী, মালেক শিকদার ও দোকানদার হাবুল সরদারকে আটক করেন।

এসআই হাবিবুর রহমান জানান, সাবেক ইউপি সদস্য সবুজ তার (এসআই হাবিবুর রহমান) হাতে জরিমানার ওই দুই হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। তবে নাকে খত দেয়ার কথা দেবাশিষ অস্বীকার করে বলেছে, তাকে দিয়ে থুথু ফেলানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বাদীর অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।