প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৫ম শ্রেণির ছাত্র হাসপাতালে


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত হয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে হাসপাতালের বিছানায় বসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান বাদশা বেধড়ক বেত্রাঘাত করলে তাকে মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ইয়াছিন জমাদ্দার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ২৭০নং কুমারিয়জোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে মোড়েলগঞ্জের উত্তর কুমারিয়াজোলা গ্রামের ফারুক জমাদ্দারের ছেলে।

শনিবার সকালে হাসপাতালের বিছানায় বসেই মডেল পরীক্ষায় অংশ নেয়া ইয়াছিন জমাদ্দারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান বাদশা প্রাইভেট পড়ানোর সময় ইয়াছিনকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি শুক্রবার রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। শুক্রবার রাত ১১টায় সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ওমর ফারুক হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মুফতি কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিশু ইয়াছিনের শরীরে ১৫/১৬টি বেত্রাঘতের চিহ্ন দেখা গেছে। যার অধিকাংশই খুব জোড়ালো হওয়ায় কেটে পড়েছে এবং রক্ত জমাট ধরেছে।

এদিকে ওই ছাত্রকে মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আহত ইয়াছিনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালে বসেই ইয়াছিনের মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। নিকটস্থ সানকিভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিভা দাস গুপ্তকে সেখানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ২৭০নং উত্তর কুমারিয়াজোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান বাদশার বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছ।

শওকত আলী বাবু/এমজেড

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।