ফেনীর ১০ স্কুলে পাঠদান বন্ধ
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী আগস্ট মাসের শুরুতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে মূহুরী-কহুয়া নদীর অন্তত ১১ স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। প্রবলবেগে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে সড়ক, ঘরবাড়ি, মৎস্য খামার, আমনের বীজতলা, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে দুই উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নিম্নাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ প্লাবিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলগাজী উপজেলার পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিসমত ঘনিয়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বন্যা কবলিত আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৈরাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোতালেব জানান, বন্যায় বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ায় ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।
উত্তর শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আছমা আক্তার ও আবদুল্লাহ জানায়, মূহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না।
পরশুরাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে ও ফ্লোরে পানি থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা ফেরদৌসি জানান, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ৪টি বিদ্যালয় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
রাশেদুল হাসান/আরএআর/পিআর