একবুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ফিরোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৯

চলন্ত বাসে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় হাত হারানো রাজশাহী কলেজের ছাত্র ফিরোজ আহমেদ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে হাত ছাড়াই তাকে ফিরতে হবে বাড়ি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, টানা চিকিৎসায় এখন সুস্থ আছেন ফিরোজ। তার কাটা হাতের ক্ষত প্রায় সেরে উঠেছে। আগামী দুই থেকে তিনদিন পরই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পাত্র দেয়া হবে।

রামেকের ৩১নং ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ফিরোজ আহমেদ। তিনি জানান, আপাতত চিকিৎসক জানিয়েছেন কোনো শঙ্কা নেই। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন লাগবে। এরপরই তিনি ফিরে যাবেন বাড়ি।

ফিরোজ আরও জানান, শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৮ জুন বগুড়ায় গিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ডান হাত হারান। হাত হারিয়ে চলমান মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশ নেয়া হয়নি তার। এখন কেবল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।

গত ২৮ জুন রাজশাহীগামী মোহাম্মদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিকগামী একটি বেপরোয়া ট্রাক পাশ থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসযাত্রী ফিরোজ আহমেদের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে পড়ে যায়।

ওই দিন সন্ধ্যায় নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌর ভবনের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনার পর থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিরোজ। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই নগরীর কাটাখালি থানায় মামলা করেন তার বাবা মাহফুজুর রহমান।

ফিরোজ আহমেদ রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নামোইট গ্রামের মাহফুজুর রহমানেরে ছেলে।

এরই মধ্যে ‘মোহাম্মদ পরিবহন’ বাসের চালক ফারুক হোসেন সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে বাস ও ট্রাক দুটি। তবে ট্রাকচালক ওয়াহিদুজ্জামান এখনও পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।