পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে আশ্রয়স্থল হারিয়েছে ৩ হাজার রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ দিনের ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় আশ্রয়স্থল হারিয়েছেন প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। এ সময় পৃথক কারণে প্রাণ হারিয়েছেন দু’রোহিঙ্গা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজার চারশ ঘরবাড়ি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তারা নিহতদের পরিচয় জানায়নি।
আইওএমর ন্যাশনাল কমিউনিটি অফিসার তারেক মাহমুদ এক বার্তায় জানিয়েছন, প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে গত পাঁচ দিনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন দুই জন। আশ্রয়স্থল হারিয়েছেন দুই হাজার সাতশ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং তিন হাজার চারশরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইওএমর মুখপাত্র জর্জ ম্যাকলয়েড জানিয়েছেন, বর্ষাকালের মাত্র অর্ধেক সময় পার হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে গত ৭২ ঘণ্টায় আমরা দুই হাজার মানুষকে সহায়তা করেছি।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ইতোমধ্যেই ২০১৮ সালের ক্ষয়ক্ষতির থেকেও ছাড়িয়ে গেছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ৩ থেকে ৫ জুলাই এই তিন দিনে সবচেয়ে বড় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১০ মিলিমিটার। আরেকটি বড় ক্যাম্প ‘ক্যাম্প ১৬’তে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩০ মিলিমিটার।
আইওএমর হিসাব মতে, গত ২ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত থাকা প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে, ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ১ হাজার ১৮৬টি, পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ২১৬টি, ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ১ হাজার ৮৪০টি ও অন্যান্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫৩৪ জন।
আইওএমর ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে এ সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এতে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমকেএইচ