দিনাজপুরে বনের জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ : নিহত ১
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বন বিভাগের জমি দখলের পর গাছ রোপণ করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আমিনুল ইসলাম বাবু (৫০) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
নিহত আমিনুল ইসলাম বাবু পাবর্তীপুর উপজেলার মাকইপাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের গিলাঝুকি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কুশদহ ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক জাগো নিউজকে জানান, বিবাদীয় জমি বন বিভাগের। ১০ বছর পূর্বে ওই জমিতে বাগান ছিল। এখন গিলাঝুকি এলাকার ভূমিহীন লোকজন দখল রয়েছে। চলতি মৌসুমে তারা মাসকালাই বপন করেছিল। পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার মাকইপাড়া ও মাহাতাব পাড়ার লোকজন বন বিভাগের হয়ে ওই জমিতে গাছ রোপণ করতে আসলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এতেই প্রতিপক্ষের আঘাতে একজন নিহত হন।
মধ্যপাড়া সদর বিট কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম জাগো নিউজকে জানান, কুশদহ ইউনিয়নের গিলাঝুকি এলাকার ২০ বিঘা বন বিভাগের জমি দীর্ঘদিন থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলার গিলাঝুকি গ্রামের লোকজন দখল করে রেখেছেন। ওই জমিতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী পাবর্তীপুর উপজেলার মাকই পাড়া ও মাহাতাব পাড়ার ২০ জনের একটি দল বন বিভাগের জমিতে গাছ রোপণ করতে যান। এসময় গিলাঝুকি গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০ জন গুরুতর আহত হয়ে রমেক হাসপাতালে ও স্থানীয় নবাবগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
আফতাবগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ভঅরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জকাগো নিউজকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় রংপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পার্বতীপুর থানার মাকইপাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাবু (৫০) গুরুতর জখম হয়ে রমেক হাসাপাতালে মারা যান। আহতদের মধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গিলাঝুকি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে শাহীনুর ইসলাম (৩৭), জেকের আলীর ছেলে সাত্তার (৪৪), ছমির আলীর ছেলে দুলু মিয়া (৩৮), আদম আলীর ছেলে আনসার আলী (২৮), মিজানুর রহমানের ছেলে মুঞ্জু মিয়া (৩৮), আ. মতিনের ছেলে সুমনসহ (২৬) ২০জন ।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/এমএস