গুঁড়িয়ে দেয়া হলো সুরমা তীরের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা
সিলেট মহানগরের কাজিরবাজার সেতুর নিচে ও মাছবাজার এলাকায় সুরমা নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকান ও ভবন উচ্ছেদে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। এসময় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃস্টফার হিমেল রিছিলের নেতৃত্বে যৌথভাবে অভিযানে নামে সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিসিক।
এসময় কাজিরবাজার সেতুর নিচের এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া মাছবাজার এলাকায় আরও অন্তত ২০-২৫টি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। সেই সঙ্গে অন্য অবৈধ স্থাপনার মালিকদের জায়গা খালি করে দিতে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃস্টফার হিমেল রিছিল বলেন, এর আগের দিন অবৈধ দখলদারদের জায়গা খালি করতে নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি মাইকিং করা হয়েছে। এতে কাজ না হওয়ায় অবৈধ স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হলো।
তিনি বলেন, নদীর তীর দখল করে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। উচ্ছেদ শুরু হয়েছে, নদীর তীর দখলমুক্ত করার আগ পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) রীতা বেগম, সিসিক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পিডিবির ও জালালাবাদ গ্যাসের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন রোববার নগরের তোপখানা কাজিরবাজার এলাকায় সুরমা নদীর তীরে সিলেট জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন যৌথ অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
ছামির মাহমুদ/এমবিআর/এমএস