ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ০৬ জুলাই ২০১৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় জুয়েল মিয়া (৩৪) নামে এক পোলট্রি ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। শনিবার সকাল ৯ টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্য কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কুলিয়ারচর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মামুন উর রশিদ, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. মো. নিয়ামুল ইসলাম ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. মোহাম্মদ শফিউদ্দিন।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভৈরব ট্রমা অ্যান্ড জেনারেল হাসাপাতালে ভুল চিকিৎসায় জুয়েল মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি ভৈরব পৌর এলাকার চন্ডিবের গ্রামের হাজী আলাউদ্দিনের ছেলে।

এদিকে শনিবার ভৈরব ট্রমা অ্যান্ড জেনারেল হাসাপাতালে গিয়ে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত ডা. কামরুজ্জামান আজাদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার কারণে এবং হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সবার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. বুলবুল আহমেদ।

জুয়েল মিয়ার স্বজনরা জানান, পোলট্রি ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া প্রায় তিন বছর আগে সিএনজি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়। তখন তাকে এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হলে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ডা. কামরুজ্জামান আজাদ তার হাত অপারেশন করেন। অপারেশনের সময় তার হাতের ভেতর রড লাগানো হয়েছিল। সেই রডটি গতকাল রাতে হাত থেকে খুলতে তার অপারেশন করার সময় তাকে হাফ বডি অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া হয়। অপারেশন শুরুর আগে অ্যানেসথেসিয়া দেন ডা. মো. ইমরান। অপারেশন করেন ডা. কামরুজ্জামান আজাদ। তাকে সহায়তা করেন সহকর্মী গৌরাঙ্গ সাহাসহ কয়েকজন। অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পরপরই তার হার্টবিট বেড়ে ও প্রেসার কমে যায় বলে ডাক্তার জানান। একপর্যায়ে অপারেশন থিয়েটারে জুয়েল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপরই খবর শুনে স্বজনরা ও স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ডা. কামরুজ্জামান আজাদকে গ্রেফতার করে। পরদিন এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়ার বড় ভাই মো. কামাল মিয়া বাদী হয়ে দুইজন ডাক্তারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, শনিবার তদন্ত শেষে তদন্ত রিপোর্ট সিভিল সার্জনের নিকট পেশ করব। কারণ ২৪ ঘণ্টার মধ্য দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা সিভিল সার্জন নেবেন।

আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।