২৪ ঘণ্টা পর নদীতে ভেসে উঠল মায়ের ছুড়ে ফেলা শিশুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০৬ জুলাই ২০১৯

সিলেট নগরের কুমারগাঁওয়ে শাহজালাল সেতু-২-এর ওপর থেকে নদীতে নিক্ষেপ করা শিশু মাহার (৫) মরদেহ সুরমা নদীর লামাকাজি এলাকায় ভেসে উঠেছে। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে নিজের ছেলেসন্তান না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ওই শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সৎমাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ বলেন, সেতু থেকে শিশু মাহাকে নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিশুর বাবা জিয়াউল হক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় শিশু মাহার সৎমা ও জিয়াউলের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমকে। শনিবার সালমাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরই মধ্যে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে বিশ্বনাথের লামাকাজি এলাকায় সুরমা নদীতে শিশু মাহার মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জালালাবাদ থানার ফতেহপুর খাসেরকান্দি গ্রামের জেলে জিয়াউল হক প্রায় ১০ বছর আগে রাজনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দুই কন্যাসন্তান জন্ম দেন রাজনা বেগম। দুই সন্তান মারিয়া বেগম (৮) ও মাহা বেগম (৫)। শুধু মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়ায় রাজনা বেগমকে তালাক দিয়ে চার বছর আগে জিয়াউল হক জালালাবাদ থানার উজান পীরেরগাঁও গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে সালমা বেগমকে বিয়ে করেন।

সালমাও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাগ করে সালমা বেগম সৎমেয়ে মাহাকে শাহজালাল সেতুর ওপর থেকে সুরমা নদীতে ফেলে দেন। এ সময় স্থানীয় জনতা ঘটনাটি দেখে সালমা বেগমকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেন।

ছামির মাহমুদ/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।