মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় ওভারব্রিজ থেকে স্কুলছাত্রীর লাফ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৯

গায়ে স্কুল ড্রেস, কাঁধে বইয়ের ব্যাগ। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনের ওভারব্রিজে উঠে মোবাইলে কথা বলছিল একটি মেয়ে। এমন দৃশ্য স্টেশনে অপেক্ষারত ট্রেনযাত্রীসহ রেল পুলিশের চোখ এড়ায়নি। হঠাৎ করে মেয়েটি মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় ওভারব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওভারব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারাত্মক আহত হয় স্কুলছাত্রী। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ছাত্রী। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যার জন্য ওভারব্রিজ থেকে লাফ দিয়েছিল স্কুলছাত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়া মহল্লার ঠিকাদার মফিজুল ইসলাম লেবুর মেয়ে লিয়ানা সরকার লোপা (১৫)। সে স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় লোপা। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গিয়ে সৈয়দপুর রেলস্টেশনে গিয়ে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে সে। পরে রেলস্টেশনের ওভারব্রিজে উঠে মোবাইলে কথা বলছিল।

রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলছাত্রী মোবাইলে কথা বলতে বলতে ওভারব্রিজ থেকে লাফ দেয়। এতে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় সে। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত পুলিশ ও লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা হাসপাতালে ছুটে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সৈয়দপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাম পায়ের হাঁটুর ওপরের হাঁড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু হাড় ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ওভারব্রিজ থেকে ওই স্কুলছাত্রীর লাফিয়ে পড়ার কারণ জানা যায়নি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাহেদুল/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।