হঠাৎ উধাও সোনাভরী ব্রিজ


প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের সোনাভরী নদীর ব্রিজ বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে উধাও হয়ে গেছে। ব্রিজটি কোথায় গেছে তা কেউ বলতে পারছে না।

এদিকে এ খবর পাওয়ার পর রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শঙ্কর কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার উৎসুক জনতা উধাও হওয়া ব্রিজটির স্থান দেখতে ভিড় জমান। এখন পর্যন্ত ব্রিজটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ব্রিজটি উল্টে গেছে। এলাকাবাসী আ. কাসেম (৭০), আ. জলিল (৫০) জানান, বন্যা শুরুর আগে থেকে ব্রিজের সন্নিকটে একদল বালুদস্যু ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে। ফলে ওই স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র স্রোতে ব্রিজটি উল্টে ওই গর্তেই দেবে গেছে। বালু দস্যুদের কারণে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে, ব্রিজটির উপর দিয়ে রৌমারী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় যাতায়াত করেন এবং উপজেলার সর্ব প্রকার মালামাল এ রাস্তা দিয়েই বহন করা হয়। ব্রিজটি উল্টে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রৌমারী শহর হতে কুড়িগ্রামে আসা নৌ-ঘাটের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ হিসেবে ২০০৪ সালের দিকে দুযোর্গ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি যাতে উল্টে না যায় সে জন্য আমরা দু’দিন ধরে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা করা গেল না। ব্রিজ না থাকায় রৌমারী ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা হাজার-হাজার লোক চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শঙ্কর কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে জানান, ব্রিজটি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্রোতের চাপ বেশি থাকায় ব্রিজটি উল্টে গেছে। পানি কমলেই বোঝা যাবে ব্রিজটি কোথায় আছে।

নাজমুল হোসেন/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।