মেয়েকে উদ্ধারে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯

পঞ্চগড়ে অপহরণের ছয় দিনেও উদ্ধার করা যায়নি এইচএসসি ২য় বর্ষের এক ছাত্রীকে। অক্ষত অবস্থায় মেয়েকে ফিরে পেতে থানা পুলিশ আর জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

এ ঘটনায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় অপহরণের মামলা করেন। মামলায় পাশের গ্রামের মো. শাহাজাদ হোসেন (২০) ও তার বাবা মো. লোফাজুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন শাহাজাদ হোসেনের বন্ধু মো. ইমন (২০), ইমনের বাবা মো. লোফাজুল (৪৫), ইমনের খালু মো. লাবলু (৩৫) ও লাবলুর বাবা নাজিম উদ্দীন (৫০)। অভিযুক্তরা সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে মামলার পর থেকেই অভিযুক্তরা গাঢাকা দিয়েছেন।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও অপহৃত কলেজছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত কলেজছাত্রী জেলা শহরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার মো. লোফাজুলের ছেলে দোকান কর্মচারী শাহাজাদ হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবাকে জানালে তিনি অভিযুক্ত শাহাজাদ ও তার পরিবারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য অটোভ্যান যোগে কলেজে যাচ্ছিলেন। এসময় পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের বাঁশবাড়ি মাদরাসার সামনে তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত শাহাজাদ হোসেন ও তার সহযোগীরা।

অপহৃত কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার আক্রোশে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানায় ধরনা দিচ্ছি। ছয় দিনেও মেয়ের কোনো হদিস পাইনি। সে এখন কোথায় কী অবস্থায় আছে তা-ও জানি না। আমি বড় কোনো অঘটনের আশঙ্কা করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা পুলিশের এসআই মো. রুহুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সফিকুল আলম/এমবিআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।