হারিয়ে যেতে বসেছে লকমা জমিদার বাড়ি


প্রকাশিত: ০৪:৫২ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার লকমা জমিদার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের অভাবে আজ ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ জমিদার বাড়িটি এখন শুধুই স্মৃতি।

জানা গেছে, পাঁচবিবি থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার ঘেঁষে মাত্র ৪ গজ দূরে পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী কড়িয়া গ্রামে এ জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।

জনশ্রুতি আছে, ধ্বংস প্রায় লকমা জমিদার বাড়িটি জয়পুর গভর্নমেন্ট ক্রাউন  স্টেটের অধীনস্থ ছিল এবং জমিদার বাড়িটি কে কবে নির্মাণ করেছিল তার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও অনেকের ধারণা প্রায় ৪/৫শ বছর আগে জমিদার হাদী মামুন চৌধুরী এটি নির্মাণ করেছিল।

জমিদার বাড়ির দেয়াল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম কোণে একটি ক্ষুদ্র খিড়কি পুকুর আছে। পুকুরের পানি কালো। প্রায় ৩ একর জমির উপর দুইভাগে নির্মিত এ জমিদার বাড়ি। লোহার রড ছাড়াই শুধু ইট, চুন সুড়কি দিয়ে নির্মিত ৩তলা ভবন। এ জমিদার বাড়ির একতলা ইতোমধ্যেই দেবে গেছে মাটির নিচে। বাড়িটিতে রয়েছে প্রায় ২৫/৩০টি কক্ষ।

যার ভিতরে রয়েছে আরো ছোট ছোট কুঠুরি। হাতিশাল, ঘোড়াশাল, একটি কাচারিবাড়ি সবই ছিল এখানে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ শুধু কালের সাক্ষী হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় নীরবে দাঁড়িয়ে আছে।

কিন্ত বর্তমানে এলাকার কিছু উদ্যমী যুবক এটি পরিষ্কার করে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। নিভৃত পল্লীতে অবস্থিত সীমান্ত ঘেঁষা, নয়নাভিরাম প্রাচীন এ জমিদার বাড়িটি দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তার মাধমে এটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

কড়িয়া মাদরাসার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাদ্দেস আলী জাগো নিউজকে জানান, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঐতিহাসিক এই স্মৃতিটি আজ ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। খুব শিগগিরই এর সংরক্ষণ দরকার।      

আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বেনু জাগো নিউজকে বলেন, কড়িয়া বাজার থেকে লকমা জমিদার বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাকা করার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং জমিদার বাড়িটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরউদ্দিন আল ফারুক জাগেি নিউজকে জানান, জমিদার বাড়িটি ব্যক্তি মালিকাধীন হওয়ায় আইনী জটিলতায় তা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।