সামান্য বৃষ্টিতেই বাহাদুর বাজারে হাঁটু পানি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯

পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে থাকছে। রাস্তার ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন গেলেই চলাচলরত পথচারী ও সড়কের পাশে অবস্থিত দোকানদের ওপর ছিটকে পড়ছে কাদা পানি। তাতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পথচারীর পোশাক ও দোকানদারদের মালামাল।

পানি আটকে থাকায় সড়কের পাশের ও বাজারের ভেতরের দোকানে যাচ্ছে না কোনো ক্রেতা। শুধু ক্রেতা-বিক্রেতা নয় এ সমস্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বাহাদুর বাজার মোড় থেকে গোলকুঠি হয়ে হাসাপাতাল মোড় ও বাহাদুর বাজার মোড় থেকে পুরাতন বাহাদুর বাজার হয়ে পাহাড়পুর পর্যন্ত কাদা পানিতে ভরে গেছে।

dinajpur

এদিকে পৌর মেয়রকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি শুধু আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন। পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা কোনো দিনই নেননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, বাহাদুর বাজার ঘিরে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বাজারের ভেতরসহ রাস্তাগুলোতে হাঁটু পানি জমে থাকে। আর দোকানের সামনে এভাবে পানি জমে থাকলে ক্রেতারা আসতে চায় না। যদি কোনো যানবাহন যায় তাহলে কাদা ছিটকে এসে দোকোনে কাপড় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় উঠে আসে ও দোকানের ভেতরে ঢুকে যায়। যা রীতিমত বিব্রতকর।

dinajpur

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক আব্দুর রহমান বলেন, খুবই বাজে অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের। আমরা বাহাদুর বাজারে ইজিবাইক নিয়ে ঢুকতে পারি না ।

স্কুটিচালক রানী বেগম বলেন, বৃষ্টি হলে শুধু বাহাদুর বাজার নয় দিনাজপুর পৌরসভাতেও স্কুটি নিয়ে প্রবেশ করা যায় না। অবস্থা এমন হয়েছে যে, ১০ মিনিট বৃষ্টি হলে ১০ ঘণ্টা বাড়িতে বন্দি হয়ে থাকতে হয়।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত সময়ে এই সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।