একটি শাড়ি হারানোয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
একটি শাড়ি হারানোয় স্ত্রী ফরিদা পারভীন মনিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তার স্বামী মো. রুবেল মিয়া। হত্যার পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো।
শুক্রবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন রুবেল মিয়া।
আদালতকে রুবেল আরও জানান, হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে একপর্যায়ে স্ত্রী ফরিদা পারভিনের লাশ নগেরর পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। পরে সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা শুক্রবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন রুবেল মিয়া। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে সিলেট নগরের নয়াবাজারে ফরিদা পারভীন মনিকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রুবেল। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার বেরী গ্রামের দুলন মিয়ার ছেলে।
নিহত ফরিদা পারভীন মনি (২২) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে স্বামী রুবেল আহমদকে (৩০) আটক করে পুলিশ। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ছামির মাহমুদ/জেডএ