পুলিশে নিয়োগ জালিয়াতি চক্রের ৭ জন আটক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

নাটোরে পুলিশে নিয়োগ জালিয়াতি চক্রের সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে নাটোর, বগুড়া,পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা বড়াইগ্রাম উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সাইদুল মন্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে রনির নাম। এই নিয়োগ জালিয়াতি করেই ফজলুর রহমান রনি গড়েছেন বিশাল অট্টালিকা।

শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুলিশ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে অন্যান্য চাকরিতেও জালিয়াতির নানা তথ্য উঠে আসে। গত ২২ জুন নাটোর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে শারীরিক এবং লিখিত পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় নাইম ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সংরক্ষিত ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপের মিল না পেয়ে পুলিশ পরীক্ষার্থী নাইম ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একইভাবে রাব্বী আলী ও আব্দুল হাদির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

এরপর আটকদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশেসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের মূলহোতা ফজলুর রহমান ওরফে রনিসহ মোট সাতজনকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। এ সময় ৩৬টি সাদা স্ট্যাম্প, ১৬টি ব্যাংক চেক এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। আটকদের মধ্যে চারজন দালাল ও তিনজন চাকরি প্রার্থী রয়েছেন।

আটকরা হলেন- পরীক্ষার্থী বড়াইগ্রাম উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নাইম ইসলাম, গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের জামাল প্রামাণিকের ছেলে রাব্বী আলী ও একই উপজেলার সাহাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হাদি। চার দালাল হচ্ছে- বড়াইগ্রাম উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সাইদুল মন্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে রনি, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর গ্রামের সামছুল মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন আলী এবং সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের হারান মন্ডলের ছেলে রওশন মন্ডল। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

প্রেস বিফ্রিংয়ে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে এবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। স্বল্প খরচে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করায় আমরা এর সফলতা পেয়েছি। এখন থেকে সকল পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার। এতে করে প্রকৃত এবং মেধাবীরা চাকরি পাবে।

রেজাউল করিম রেজা/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।