বাল্যবিয়ে বন্ধ করে শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন শিক্ষিকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৮:২২ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় সহপাঠীদের সহযোগিতায় নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালো এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর টি-আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ শহরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে মদন পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে পাপ্পুর (২৫) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

অভিভাবকদের কাছে বিয়ের কথা শোনে সোমবার বিকেলে প্রাইভেটের কথা বলে ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়। বিষয়টি সহপাঠীদের জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সহপাঠীসহ ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা জেবুন্নাহারের বাসায় গিয়ে বিয়ের বিষয়টি জানায়।

প্রধান শিক্ষক স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রশাসনের পরামর্শক্রমে প্রধান শিক্ষক দুই পক্ষের অভিভাবককে তার বাসায় ডেকে আনেন। উভয় পক্ষকে বাল্যবিয়ের সুফল-কুফল সম্পর্কে অবগত করলে সোমবার রাতেই বাল্যবিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করে দুই পক্ষ। সেই সঙ্গে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা, প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. আল-আমিন তালুকদার, শিক্ষক ওমর শরীফসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীরপুর টি-আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহার বলেন, সোমবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা আমার বাসায় আসে। তারা আমাকে বিয়ের সম্পর্কে অবগত করলে আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করি। পরে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেই। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচসহ যাবতীয় দায়িত্ব আমি নিই।

কামাল হোসাইন/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।