ঘাট ভাঙলেই কেবল বালুর বস্তা ফেলার তোড়জোড়
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ১নং থেকে ৬নং ফেরি ঘাট এলাকার কিছু কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আর সেই ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করছে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। এ ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার হয়। সম্প্রতি বৃষ্টি, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে ৬টি ফেরিঘাটের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর ২৫০ কেজি ওজনের বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ঘাট রক্ষার চেষ্টা করলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ফেরিঘাট রক্ষার্থে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে ফেরি ঘাট এলাকায় বালু ভর্তি বস্তা ফেলার কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরিফ এন্টারপ্রাইজ। শ্রমিকরা প্রতিদিন প্রায় ৮শ থেকে ১ হাজার জিও ব্যাগ পানিতে ফেলছেন।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছর নদীর পানি বৃদ্ধির সময় ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হলে বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে এ কাজ করলে এখন বস্তা না ফেললেও চলতো। এছাড়া যে পরিমাণ বস্তা ফেলা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম এবং কাজও হচ্ছে ধীর গতিতে।
সরজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতদিয়ার ৪নং ও ৫নং ফেরি ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে বালু এনে বস্তায় ভরে পানিতে ফেলছেন। এর আগে তারা অন্যান্য ঘাটের ভাঙনস্থানেও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছেন।
এলাকাবাসী জানান, নদীর পাড় ও ফেরি ঘাটের সঙ্গেই তাদের বাড়ি। নদীতে এখন পানি বাড়তে শুরু করেছে এবং সেইসঙ্গে রয়েছে স্রোত। যে কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে ফেরিঘাটসহ বহু বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।
শ্রমিকরা বলেন, ভাঙনরোধে তারা একমাসের বেশি সময় ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছেন। প্রতিদিন তারা ৮শ থেকে ১ হাজার বস্তা প্রস্তুত করে পানিতে ফেলছেন। প্রয়োজনে তারা আরও বেশি ব্যাগ প্রস্তুত করে পানিতে ফেলবেন।
গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফ সরকার বলেন, প্রতিবছরই এ ঘাট এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। এ বছর ঘাট রক্ষার্থে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বালুর বস্তা ফেলেছেন। ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমকেএইচ