ছেলে ধর্ষক, লজ্জায় আত্মহত্যা করলেন বাবা
গত ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নাঈম ইসলাম (২৭) শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করেন। কিন্তু আজ নাঈমের বাবা বসু মিয়ার (৫০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রাম থেকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে ছেলের অপকর্মের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত বসু মিয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বসু মিয়া।
উল্লেখ্য, নাঈম তার বাবা বসু মিয়ার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত সোমবার তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন নাঈম। বুধবার রাতে বসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যাননি। নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানান তিনি সকালে ঢাকা থেকে তার মাকে আনতে যাবেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ান। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্মৃতি।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/জেআইএম