মাছ চুরি দেখে ফেলায় শিশু নির্যাতন


প্রকাশিত: ০২:৪৪ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলে চুরি করে মাছ ধরা দেখে ফেলায় রাসেল (১১) নামে এক শিশুকে পিটিয়ে এবং ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক দুর্বৃত্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হাটুভাঙ্গা রোড এলাকায়।

এদিকে, রাসেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাবার নাম লাভলু মিয়া। বাড়ি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মৌভাষা গ্রামে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রাসেলের বাবা লাভলু মিয়া ওই এলাকার আব্দুল কাদেরের মাছের পুকুরে পাহাড়ার কাজ করে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার এক দুর্বৃত্ত ওই পুকুরে বড়শি ফেলে মাছ ধরতে ছিলো। এ দৃশ্য রাসেল দেখে তাকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুর্বৃত্ত শিশু রাসেলকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়।

পরে তাকে এলোপাথারি কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে তার বুকের উপর পা দিয়ে চেপে ধরে। এতে রাসেল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ওই দুর্বৃত্ত রাসেলকে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী রাসেলকে জঙ্গলে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে রাসেলের জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারেনি। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

Racel

কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক নিনাদ জাগো নিউজকে জানান, শিশু রাসেলের শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্লেডের আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া রাসেলের বুকে ইসিজি ও এক্সরে করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।

শিশু রাসেলের বাবা লাভলু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, চুরি করে মাছ ধরা দেখে ফেলায় এক দুর্বৃত্ত রাসেলকে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করে মৃত ভেবে ওই স্থানে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।  

মির্জাপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শিশু রাসেলের ওপর নির্যাতনকারীকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।