সাইফুল করিমের পর এবার ‘ইয়াবা আমিন’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২০ জুন ২০১৯

তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পর প্রকাশ্যে আসে দেশের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিমের নাম। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা। সাইফুল করিম এখন অতীত।

এবার একইভাবে দুদকের মামলার গ্যাঁড়াকলে পড়লেন ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত আরেক শীর্ষ গডফাদার মোহাম্মদ আমিন ওরফে ‘ইয়াবা আমিন’। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নিহত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের বাবা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ওআর নিজাম রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৯ জুন) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন ডবলমুরিং থানায় এ মামলা করেন।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার নামে মামলাটি দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। পুলিশের দাবি, মোহাম্মদ আমিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

গত ২২ মে দুদকের পক্ষ থেকে ইয়াবা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়। সম্পদের হিসাব চেয়ে তার স্ত্রীকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ডবলমুরিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মোহাম্মদ আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২০ জুন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. আমিন। এতে আমিন নিজের নামে মোট এক কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে এক কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এ ছাড়াও দুদক আরও তথ্য পায়, আমিন ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এদিকে মামলার কথা প্রচার পাবার পর আমিনকে নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে। আমিনের জন্য সাইফুল করিমের মতো ভাগ্য অপেক্ষা করছে কি-না সেটাও দেখার প্রতিক্ষায় রয়েছেন টেকনাফবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ মে সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তা মোহাম্মদ আমিনের মেয়ে তাসফিয়া আমিনের বলে শনাক্ত করেন। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩ মে মোহাম্মদ আমিন তাসফিয়ার ছেলে বন্ধু আদনানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সোহেল (১৭), শওকত মিরাজ (১৭), আসিফ মিজান (১৭), ইমতিয়াজ ইকরাম (১৭), সুলতান (২৪) ও ফিরোজ (৩০)।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।