পিতৃহীন মেয়েকে বেঁধে ধর্ষণ, আল্লাহর কাছে বিচার দিলেন মা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আথানগিরি এলাকায় পিতৃহীন এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা হলো- একই এলাকার তিন সন্তানের জনক জাহিদ মিয়া (২৭) ও রাব্বি মিয়া (২৮)।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বলেন, শনিবার মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মীয়ের বাড়িতে রোগী দেখতে যাই। ওই দিন রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল মেয়েটি। গভীর রাতে টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া।

পরে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় লাথি দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করে মেয়ে। শব্দ পেয়ে দাদির ঘুম ভেঙে যায়। তখন দাদি-নাতনিকে বেঁধে ফেলে তারা। সেই সঙ্গে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দেয়। ওই সময় মেয়ের মুখে শক্ত কিছু একটা ঢুকিয়ে দেয় তারা। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ অবস্থায় মেয়েকে ধর্ষণ করে জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া। এতে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, অল্পের জন্য আমার মেয়েটা বেঁচে গেছে। ওই দিন সারারাত রক্ত ঝরেছে তার। ভোর রাতে যখন জ্ঞান ফিরে তখন দাদির বাঁধন খুলে দেয় মেয়ে। খবর পেয়ে সকালে প্রতিবেশীরা মেয়েকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতালে মেয়েটি ভর্তি আছে, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমার কলিজার টুকরা মেয়েটা বেঁচে আছে। যারা আমার কলিজার টুকরা মেয়েটাকে এত কষ্ট দিয়ে ধর্ষণ করেছে আল্লাহ যেন তাদের বিচার করে। আমি ধর্ষকদের কঠিন বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানা পুলিশের এসআই ইমরান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটি ঘটনার দিন থেকে এখনো চিকিৎসাধীন। আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।

মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুবই খারাপ একটি ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।

রিপন দে/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।