আ.লীগ নেতার ছেলেকে হত্যা, কৃষক লীগ নেতাকে গণপিটুনি
বাগেরহাটে অপহরণের দুইদিন পর আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে চিতলমারী উপজেলা। ছয় বছর বয়সী খালিদ শিকদারের মরদেহ সোমবার সন্ধ্যায় চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের একটি মাছের খামার থেকে থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত খালিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আলী তালুকদারের ছেলে।
এরপর উত্তেজিত জনতার পিটুনিতে উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দাউদুল ইসলাম লিন্টু খান গুরুতর আহত হয়েছেন। লিন্টু খানকে প্রথমে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওযায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে শিশু খালিদের মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার বিকেলে জানাজা শেষে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আলী তালুকদারের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
১৫ জুন বিকেলে বাড়ির পাশে ঈদগাহ মাঠে খেলাধুলা করে ফেরার পথে শিশু খালিদকে অপহরণ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
সেই সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করাসহ আসামিপক্ষের লোকজনের ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চিতলমারী থানা পুলিশের ওসি অনুকুল সরকার বলেন, ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বাবা কাওসার তালুকদার বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
শওকত আলী বাবু/এএম/এমএস