অস্ত্রসহ ফরিদকে গ্রেফতারের ঘটনা সাজানো, দাবি স্ত্রীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯

নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে মঙ্গলবার ভোরে অস্ত্রসহ ২২ মামলার আসামি শীর্ষ জলদস্যু ফরিদ কমান্ডারকে গ্রেফতারের কথা জানায় কোস্টগার্ড। তবে এটিকে মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করেছেন গ্রেফতার ফরিদের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও ছেলে ফয়জুর রহমান জীবন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি করেন।

ফরিদের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার দাবি করেন, তার স্বামী ফরিদ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং রামগতি উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি পেশায় একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সীমানা নিয়ে হাতিয়া লোকজনের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রামগতির পক্ষে তার স্বামী ফরিদ সক্রিয় থাকায় হাতিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তার স্বামী ও পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে হাতিয়ার লোকজন র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড দিয়ে তার স্বামীকে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছে।

তিনি জানান, আজ (মঙ্গলবার) তার স্বামীকে নিজ বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোস্টগার্ড তুলে নিয়ে আসে। এ সময় তার কাছে কোনো প্রকার অস্ত্র পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড পুরাতন অকেজো কতগুলো অস্ত্র দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তার স্বামীকে নিয়ে এমন মিথ্যা ঘটনা সাজানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর বিচার দাবি করেন ইয়াসমিন আক্তার।

তবে হাতিয়া কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লে. এম হামিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জেলেদের দেয়া তথ্য ও মামলার ভিত্তিতে জলদস্যু ফরিদ কমান্ডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্ত্রীর দাবি মিথ্যা। তিনি স্বামীকে বাঁচাতে এমন দাবি করছেন।

এদিকে গ্রেফতার ফরিদ কমান্ডারকে দুপুরে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।

মিজানুর রহমান/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।