জিন তাড়ানোর কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জিন তাড়ানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। উপজেলার কালিয়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত রুহুল আমীন উপজেলার কুতুবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ওই মুয়াজ্জিন মেয়েটির বাড়িতে যান। এ সময় তিনি তার পরিবারকে জানান মেয়েটিকে জিনে ধরেছে এবং তাকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে জিন তাড়াতে হবে। পরে মেয়েটিকে একটি ঘরে আলাদা নিয়ে ঝাড়ফুঁক করেন। ঝাড়ফুঁকের একপর্যায়ে মেয়েটির চোখে-মুখে সরিষার তৈল দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। এ সময় ওই মুয়াজ্জিন দ্রুত বাড়ি ত্যাগ করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। পরে স্থানীয় মাতব্বরদের সহযোগিতায় ওই মুয়াজ্জিন পালিয়ে যান।
মেয়েটির মা বলেন, ওই মুয়াজ্জিন আমার মেয়েকে জিন তাড়ানোর কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে এলাকার মাতব্বররা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসেন তারা। এজন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে। ওই মুয়াজ্জিন এলাকায় ঝাড়ফুঁক, পানিপড়াসহ বিভিন্ন ধরনের কবিরাজি চিকিৎসাও করতেন।
সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরএআর/এমকেএইচ