আষাঢ়ের প্রথম বর্ষণেই ভুগছে কক্সবাজারবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯

শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুম। আষাঢ়ের প্রথম দিনই কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। প্রথম বর্ষণেই সড়ক, উপ-সড়কে পানি জমে থাকায় ভুগছে কক্সবাজার পৌরসভার লাখো বাসিন্দা। শহরে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নালাগুলো আগে থেকেই আবর্জনামুক্ত না করায় এ দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী। শুধু তাই নয়, যাতায়ত করতে গিয়েও চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষদের।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। মাঝারি ও ভারী বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, দীর্ঘ দাবদাহের পর আষাঢ়ের প্রথম বর্ষণ সবার মাঝে স্বস্তি আনলেও অল্প বর্ষণেও পানি সহজে নামতে না পেরে ভোগান্তিতে ফেলেছে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কসহ অলিগলির বাসিন্দাদের। একইভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে হোটেল-মোটেল জোন, ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া বাজার, সদরের ঈদগাঁও বাজারের অলিগলি, লিংক রোড়, চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

Coxs-Bazar

এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী, নুনিয়ারছরা, পেশকারপাড়া চক্রাকার পৌর এলাকায় জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে প্রায় পাঁচশতাধিক ছোট-বড় ড্রেন। অনেক ড্রেন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শুরু। তাই এসব ড্রেনে পাহাড়ি মাটি এসে প্রতিনিয়ত ভরাট হচ্ছে। অন্য ড্রেনগুলোও লোকজনের ফেলা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে।

কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটার ব্যবসায়ী ইব্রাহিম, ফোরকান আহমদ, তৌহিদুল ইসলাম, হোটেল-মোটেল জোন এলাকার কর্মজীবী শফিক ফরাজীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, আষাঢ়ের প্রথম দিনের স্বল্প বৃষ্টিতেই সড়কের পর পানি জমে রয়েছে। একই অবস্থা হোটেল-মোটেল জোনের বিভিন্ন উপ-সড়কেও। এতে জমানো পানি ও কাদায় হাটাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। সামনের দিনে টানা ভারী বর্ষণ হলে কি পরিস্থিতি হবে তা সহজে অনুমেয়। চরম ভোগান্তিতে পড়বে বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী এবং দিনমজুর।

Coxs-Bazar

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আকতার পাখি বলেন, আমরাও দেখেছি মানুষ ভোগান্তিতে আছে। তাই শনিবার বিকেলে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা লেবার-সুইপারদের নিয়ে বৈঠক করেছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভঙ্গুর রাস্তা সংস্কার ও ড্রেনের ময়লা আবর্জনা অতি দ্রুত পরিষ্কার করা হবে। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে রোববার থেকেই কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

সায়ীদ আলমগীর/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।