যুবলীগ নেতাকে পেটাতে পেটাতে হাসপাতালে নিলেন ছাত্রদল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজন মীর (২৬) নামে এক যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কয়েক দফায় পিটিয়ে জখম করেছেন ছাত্রদল কর্মী মো. রাকিব ও তার সহযোগীরা।

গতকাল বুধবার দুপুরে বাউফল পৌর শহরে ঘটে এ ঘটনা। আহত সুজন কনকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক। পরে সুজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ১টার দিকে সুজন মীর কনকদিয়ার কুম্ভখালী গ্রাম থেকে মনির ও আনিছ নামের দুই ব্যক্তিকে নিয়ে বাউফল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। অফিসে কাজ শেষ করে তারা মোটরসাইকেলযোগে চলে যাওয়ার সময় চালক সুজন মীর সামনে থাকা কয়েকজন পথচারীকে দেখে হর্ন বাজান। এতে ক্ষুদ্ধ হন ছাত্রদল কর্মী মো. রাকিব। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সুজন মীরকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারেন রাকিব। এ সময়ে রাকিবও আহত হন।

এরপর রাকিবসহ কয়েকজন পুনরায় বাউফল পাবলিক মাঠের পাশে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালান। এর মধ্যে মনির ও আনিছ দৌড়ে আত্মরক্ষা করলেও যুবলীগ নেতা সুজন মীরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন তারা।

পরে তারা সুজন মীরকে একটি অটোরিকশায় তুলে পেটাতে পেটাতে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর হাসপাতালের ভেতরে ঢুকিয়ে আবারও যুবলীগ নেতাকে মারধর করা হয়। এ সময় হাসপাতালে আগতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানা পুলিশের ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।