স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী দুদুকে পরিকল্পিতভাবে খুনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯
আহাজারি করছেন নিহতের স্বজনরা

সিলেট নগরের বনকলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী দুদু খানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ভাই হাসিম খান ও বোন মায়ারুন নেছা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে আলাপকালে তারা এ দাবি করেন।

হাসিম খান ও বোন মায়ারুন নেছা জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে নিউ সাদিয়া টেলিকম নামে দোকানে বড় ভাই দুদু খানের ওপর হামলা চালায় ছাত্রদল নেতা কালা জামালসহ ১০-১২ জনের একটি দল। দোকানটির মালিক দুদু খান নিজেই। এর আগে দুদু খানের ছোট ভাই জুয়েল খানের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুটে নেয় তারা।

হাসিম খান বলেন, দুদু খানকে হত্যার আগে বাসা ও দোকানে হামলা করে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার আগে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে হামলাকারীরা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার জন্য বলে। হামলায় যখন দুদু মিয়া মৃত্যুর মুখে তখন তারা তাকে টেনে দোকান থেকে বনকলাপাড়ার গোলপামিয়া পয়েন্টে নিয়ে যায় এবং মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় সাদিয়া টেলিকমে ডাকাত পড়েছে। ডাকাতের খবর শুনে এলাকাবাসী বের হয়ে দেখেন দুদু মিয়াকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হামলার আগে তার আরেক ভাই জুয়েল খান দোকানে ছিল। হামলার সময় সে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায় । সে হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছে। তারা হচ্ছে- জামায়াত কর্মী রিপন আহমদ, ছাত্রদল নেতা কালা জামাল, বেলাল, শাহ আলম আলী।

দুদু মিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী হওয়ায় ছাত্রদল ও জামায়াতের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে বলে দাবি করেন নিহতের ভাই-বোন। তারা দুজন যখন বিলাপ করে এসব বলছিলেন ঠিক তখন নিহতের একমাত্র কন্যা শিশু রোকেয়া খানম ফেল ফেল করে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিল।

দুদু খানরা ছয় ভাই ও দুই বোন। ভাই-বোনদের মধ্য দুদু চতুর্থ। তারা প্রায় ৩০ বছর ধরে সিলেট নগরের বনকলাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। দুদু খান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের অনুসারী ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে।

এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিহত দুদুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে পরিবার এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করা হবে। মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে বেলা আড়াইটার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।